১। জাতীয় তথ্য বাতায়ন কী?
জাতীয় তথ্য বাতায়ন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তথ্য বাতায়ন যা বাংলাদেশের সকল সরকারি অফিসের তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ । সরকারি উদ্যোগে ২৫,০০০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট একসূত্রে সংযুক্ত করার নজির বিশ্বের বুকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশেই স্থাপিত হয়েছে। সরকারের প্রতিটি দপ্তরের মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরলস পরিশ্রমের ফসল এ তথ্য বাতায়ন। সব ধরণের তথ্য ও সেবা ছাড়াও এ বাতায়নে রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি। সকল সরকারি ওয়েবসাইটকে একত্রে সংযুক্ত করে প্রতিটি নাগরিকের তথ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই এই জাতীয় বাতায়ন করা হয়েছে। স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, উদ্ভাবনী ও জনমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সরকার ও নাগরিকের মধ্যকার দূরত্ব কমানোর লক্ষেই এ বাতায়নের যাত্রা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও এটুআই প্রোগ্রামের নেতৃত্ব ও তত্বাবধানে কুমিল্লা জেলায় ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি শুরু হলেও ক্রমেই এর ব্যাপ্তি বিশাল হয়ে এখন ২৫ হাজার সাইটের অনন্য এক তথ্য ভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
২। জাতীয় তথ্য বাতায়নের নির্দিষ্ট কোন address/ ঠিকানা আছে কিনা?
হ্যাঁ আছে। শুধু জাতীয় তথ্য বাতায়ন নয় প্রত্যেকটি বাতায়নের জন্য আলাদা আলাদা address/ঠিকানা আছে। তবে একটি মাত্র ঠিকানা মনে রেখেই সকল বাতায়নের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। যেমনঃ www.bangladesh.gov.bd এই ঠিকানা থেকেই সকল বাতায়নে surf করার সুবিধা জাতীয় বাতায়নে রাখা হয়েছে।
৩। জাতীয় তথ্য বাতায়ন কেন?
একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় দেশের সকল সরকারি ওয়েবসাইট নির্মাণ করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরা; কেন্দ্র অর্থ্যাৎ মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা; জাতীয় তথ্য বাতায়ন সেবামুখী ও ব্যবহারকারী বান্ধব এবং সহজে হালনাগাদযোগ্য করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং জনগণের চাহিদামাফিক সহজে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্যই জাতীয় তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে।
৪। এই ওয়েব পোর্টালের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি?
এই ওয়েব পোর্টালকে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার বলা হয় কেননা এই পোর্টালের মাধ্যমে দেশের সরকারি সকল অফিসের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায় এবং সেই সকল অফিস হতে প্রদত্ত সেব সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। সরকারি অফিসের সকল তথ্য এই ওয়েব পোর্টাল থেকে সংগ্রহ করা যায় যা কিনা অন্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা কষ্টকর ও সময় স্বাপেক্ষ্য।
৫। এই ওয়েব পোর্টালের উদ্দেশ্য কি?
একটি ওয়ান স্টপ অনলাইন পোর্টাল হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের এই ওয়েব পোর্টাল সরকারি সেবাসমূহের সর্বশেষ তথ্য প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয়েছে। সকল সরকারি ওয়েবসাইট এবং সেগুলোর তথ্যগুলোকে একটিমাত্র ওয়েব পোর্টালে সমন্বিত করার লক্ষ্যে এটি একটি অন্যতম ই-গভর্নেন্স উদ্যোগ। এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের সেবাসমূহের সব রকম তথ্য সহজে জনগণের কাছে পৌঁছাতে চায়। প্রাথমিকভাবে বিদ্যমান সেবাসমূহকে সেবার ক্রমানুসারে সজ্জিত করা হয়েছে যা সেবাকুঞ্জ নামীয় সেবা বাতায়নে রয়েছে এবং সেবাসমূহ যাতে খুব সহজেই প্রদান করা যায় সে লক্ষ্যে সার্ভিস প্রসেস ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
৬। এই ওয়েবপোর্টাল কি কি ধরণের তথ্য প্রদান করবে?
বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রিয় সেবাসমূহের সবরকম তথ্য, সরকারি কাঠামোর মৌলিক তথ্য, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবপোর্টালের তথ্য, পোর্টালে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও লিংক এ ওয়েবপোর্টাল থেকে সহজে পাওয়া যাবে।
৭। সরকারি ঘোষণা বা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে কিভাবে জানবো?
সরকারি ঘোষণা বা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে http://pmo.gov.bd/ এর প্রথম পাতার নোটিস লিংকে ক্লিক করুন।
৮। সরকারি এ ওয়েবপোর্টাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত থাকলে কি করবো?
যেকোন ধরনের প্রশ্ন ও মতামতের জন্য ‘মতামত’ লিংকে গিয়ে আপনার নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস সহ প্রশ্ন বা মতামত টাইপ করে “প্রদান করুন” বাটন ক্লিক করুন ।
৯। কে বা কারা এই ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করতে পারবে?
বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ হতে সকল শ্রেণীর ব্যবহারকারীগণ তাদের প্রয়োজন অনুসারে এই ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করতে পারবে।
১০। সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
ক. “সরকারি অফিস” মেন্যুতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের লিংকে ক্লিক করলে “জনশক্তি" ট্যাবে কর্মকর্তাদের তথ্য পাওয়া যাবে।
খ. ই-ডাইরেক্টরি (যেমন - http://www.natore.gov.bd/e-directory ) লিংকে ক্লিক করলে কর্মকর্তাদের তথ্য পাওয়া যাবে।
১১। তথ্য প্রদানকারি কর্মকর্তাদের তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
ক. “সরকারি অফিস” মেন্যুতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের লিংকে ক্লিক করলে “তথ্য প্রদানকারি কর্মকর্তা" ট্যাবে কর্মকর্তাদের তথ্য পাওয়া যাবে।
খ. তথ্য প্রদানকারি কর্মকর্তা (যেমন- http://www.natore.gov.bd/info_officers) লিংকে ক্লিক করলে কর্মকর্তাদের তথ্য পাওয়া যাবে।
১২। কিভাবে ওয়েব অ্যাড্রেস মনে না রেখে আমি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এর ওয়েব সাইট দেখতে পারি?
এই জন্য প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন বিভাগ থেকে ব্রাউজ করতে চান। ধরুন আপনি ঢাকা বিভাগের তাই আপনি সামান্য একটি অ্যাড্রেস মনে রাখলেই হবে।“www.bdgovportal.com”আপনি এই অ্যাড্রেসটি একটি ব্রাউজার ওপেন করে url বার এ উক্ত অ্যাড্রেস লিখে Enter Press করলেই ওপেন হবে। তার পর একটি ড্রপ ডাউন বার আসবে, সেখানে আপনি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের তালিকা দেখতে পাবেন, এবার আপনি ঢাকা বিভাগ এর উপর মাউসের কার্সরটি নিয়ে click করলেই আপনার কাঙ্খিত বিভাগটি চলে আসবে। এইভাবে আপনি চাইলে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যন্ত অ্যাড্রেস না লিখে ব্রাউজ করতে পারেন ও আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।
১৩। ন্যাশানাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্ক কি ব্রাউজার ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) ?
সকল ব্রাউজারেই ন্যাশানাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্ক ব্রাউজ করা যাবে, এটি সম্পূর্ন ব্রাউজার ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) ।
১৪। পোর্টাল থেকে সরকারি সেবা সম্পর্কে জানার জন্য কী করতে হবে?
পোর্টার থেকে সরকারি সেবা সম্পর্কে জানার জন্য সেবাখাত এবং ই-সেবা মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তখন বাংলাদেশ সরকারের সেবা খাত যেমন: শিক্ষা, স্বাস্হ্য, কৃষি, আইন-শৃঙ্খলা, যোগাযোগ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া, আপনি অনলাইনে প্রদত্ত সেবাসমূহ সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনাকে ই-সেবাসমূহ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তখন ২০টি ক্যাটাগরিতে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের দেঢ় শতাধিক অনলাইন সেবা যেমন: ভর্তি, প্রশিক্ষণ, বিল পরিশোধ, টিকেট ক্রয়, নিয়োগ, আবেদন, নিবন্ধন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সেবা গ্রহণও করতে পারবেন।
১৫। পোর্টাল থেকে বিভিন্ন সরকারি ফরম সম্পর্কে জানার জন্য কী করতে হবে?
পোর্টাল থেকে বিভিন্ন সরকারি ফরম সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে ই-সেবাসমূহ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তখন আপনি সরকারি ফরমস নামক একটি ক্যাটাগরি পাবেন এবং এটিতে ক্লিক করলে আপনি এক সহস্রাধিক সেবার ফরম পেয়ে যাবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস